নিজস্ব প্রতিবেদক:
চলমান পিএসসি’র মাধ্যমে নন ক্যাডার নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিতে সহকারী উপজেলা/থানা শিক্ষা অফিসার (এইউইও/এটিও) পদে “বিভাগীয় প্রার্থী হিসেবে কেবলমাত্র সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক বুঝাবে” এই সংজ্ঞার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে উচ্চ আদালতে রিট দাখিল করেছেন প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের অধীনে কর্মরত উচ্চমান সহকারী কাম হিসাবরক্ষকগণ।
রিটকারীদের আইনজীবী ব্যারিস্টার আরিফ হোসাইন জানান,
পিএসসি’র মাধ্যমে চলমান নিয়োগ প্রক্রিয়ায় সহকারী উপজেলা শিক্ষা অফিসার পদে বিভাগীয় প্রার্থী হিসেবে আবেদনের সুযোগ পায় কেবলমাত্র সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকগণ। যা মন্ত্রণালয় বা বিভাগের অধীনে অধিদপ্তর, পরিদপ্তর এবং দপ্তরের কমন নিয়োগ বিধিমালা-২০১৯; ধারা ২ এর (ঙ) মোতাবেক বৈধ নয়।
তিনি আরও জানান যে, চলমান নন ক্যাডার নিয়োগ বিজ্ঞপ্তির নির্দেশনাবলীর ১০ নম্বর পৃষ্ঠার বর্ণিত বিভাগীয় প্রার্থীর সংজ্ঞা মোতাবেক একই অধিদপ্তরের অধীনে কর্মরত সকলকে ২ বছর চাকুরীকাল থাকতে হবে, তাহলেই বিভাগীয় প্রার্থী হিসেবে উক্ত প্রার্থী সুযোগ পাবেন। কিন্তু ১৯৮৫ সালের নিয়োগ বিধিমালা মোতাবেক প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের অধীনে উচ্চমান সহকারী- হিসাবরক্ষক সমমানের পদগুলোতে সরাসরি নিয়োগের ক্ষেত্রে নূন্যতম শিক্ষাগত যোগ্যতা স্নাতক ডিগ্রী, অপরদিকে ততকালীন শিক্ষক নিয়োগের ক্ষেত্রে উচ্চ মাধ্যমিক ছিল। যা পরবর্তীতে ২০১৯ সালে শিক্ষকদের শিক্ষাগত যোগ্যতা স্নাতক ডিগ্রীতে উন্নীত করা হয়। তিনি আরও জানান যে, রিটের আবেদনকারীরা দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অনার্স, মাস্টার্স সহ বিএড যোগ্যতা সম্পন্ন। চলমান পিএসসি’র নন ক্যাডার নিয়োগ আবেদনে কাঙ্ক্ষিত যোগ্যতা সম্পন্ন নিম্নগ্রেডের সকলে বিভাগীয় প্রার্থীর সুযোগ পাবেন বলে তিনি আশাবাদী।
এদিকে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের অধীনে উচ্চমান সহকারী কাম হিসাবরক্ষক পদে কর্মরত রিট আবেদনকারী জনাব মোঃ মিসবাহ্-উল হক জানান যে, আমরা ২০১৯ সালে উচ্চমান সহকারী কাম-হিসাবরক্ষক পদে সরাসরি যোগদান করি। ইতিপূর্বে এই পদে বিভাগীয় পদোন্নতির মাধ্যমে পদায়ন করা হতো। পদোন্নতিপ্রাপ্তদের হয়তো কারো কাঙ্ক্ষিত যোগ্যতা না থাকায় তারা সেচ্ছায় বিভাগীয় প্রার্থীর সুযোগ থেকে বঞ্চিত থেকেছে। তিনি আরও জানান যে, নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিতে বিভাগীয় প্রার্থীর হিসেবে কেবলমাত্র শিক্ষক, অপরদিকে সার্কুলারের নির্দেশনাবলীতে বিভাগীয় প্রার্থীর সংজ্ঞা অন্যভাবে দেয়া হয়েছে, বিষয়টি তাৎক্ষণিকভাবে আমরা পিএসসি’র সংশ্লিষ্ট স্যারদের মেইল যোগে অবগত করেছি। পরবর্তীতে পিএসসি’র চেয়ারম্যান স্যার বিষয়টি আমলে নিয়ে সার্কুলারে এটিও পদে আবেদন গ্রহণ স্থগিত করে।
তিনি আরও জানান, ” আমরা আদালতের কাছে সুবিচার পাবো, কারন অন্যান্য অধিদপ্তরে সংশ্লিষ্ট পদের নিম্ন গ্রেডের সকলে বিভাগীয় প্রার্থীর সমান সুযোগ পায়। সেক্ষেত্রে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পিওন পদধারীদের যদি কাঙ্ক্ষিত যোগ্যতা থাকে তাহলে কেন তিনি বিভাগীয় প্রার্থীর সুযোগ থেকে বঞ্চিত থাকবে?”
আর এক রিটকারী সদস্য দিনাজপুর সদর উপজেলা শিক্ষা অফিসের উচ্চমান সহকারী কাম হিসাবরক্ষক জনাব মোঃ মোতাহার হোসেন জানান যে, প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরে পোষ্য কোটার ক্ষেত্রেও নিম্ন গ্রেডের কর্মচারীদের সাথে বৈষম্য করা হয়েছে। এরপর আমরা পোষ্য কোটার বিষয়ে আইনি পদক্ষেপ গ্রহণ করবো।
রিটের অন্য সদস্যগণ যথাক্রমে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ছাত্র ও উচ্চমান সহকারী কাম হিসাবরক্ষক জনাব মোঃ সিরাজুল ইসলাম (সাতক্ষীরা), জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসের উচ্চমান সহকারী জনাব মোহাম্মদ রাজিব রানা (নেত্রকোনা)
Leave a Reply